বাজার কাঁপাতে আসছে টাটা মোটরসের দুটি শক্তিশালী গাড়ি। সাফারি এবং হ্যারিয়ারের নতুন ভার্সন আনছে তারা। নিকটবর্তী ডিলারশিপে গিয়ে আপনিও গাড়িটি বুকিং করতে পারেন। 25000 টাকার বুকিং মানি দিলেই একটি গাড়ি নিজের নামে করতে পারবেন আপনি। কিন্তু কেমন হচ্ছে গাড়িদুটি? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
Tata Harrier Facelift
ডিজাইন: SUV তে একটি নতুন বাম্পার, লম্বা গ্রিল, সম্পূর্ন এলইডি লাইট বার, এবং নতুন ডিজাইনের হেডল্যাম্প ক্লাস্টার দারুন স্পোর্টি ডিজাইনের সাথে আসে। পিছনের দিকে স্মুথ টেল-ল্যাম্প ব্যান্ড এবং একটি গ্লস-কালো ফিনিশ স্কিড প্লেট রয়েছে।
ইন্টারনাল ডিজাইন: ভেতরের কেবিনে একটি ফ্রি-স্ট্যান্ডিং টাচস্ক্রিন (যা কিনা দুটি সাইজে উপলব্ধ), একটি নতুন HVAC কন্ট্রোল প্যানেল এবং একটি নতুন ডিজাইনের সেন্ট্রাল কনসোল রয়েছে। দামী ভার্সনে বৈদ্যুতিন পার্কিং ব্রেক দেখতে পাবেন আপনি।
ফিচারস: হ্যারিয়ারে 19-ইঞ্চি পর্যন্ত অ্যালয় হুইল, 10-স্পীকার JBL সাউন্ড সিস্টেম, প্যাডেল শিফটার, রিয়ার উইন্ডো সানশেড এবং আরও নানান ফিচারস উপস্থিত। সুরক্ষার জন্য 7টি এয়ারব্যাগ রয়েছে সেখানে।
Tata Safari Facelift
ডিজাইন: সাফারিতেও লম্বা গ্রিল এবং নতুন ধরনের হেডল্যাম্প দিয়েছে টাটা মোটরস যা গাড়িটিকে অন্যান্য গাড়ির থেকে আলাদা করে তোলে। পিছনে থাকছে একটি নতুন টেল-ল্যাম্প ব্যান্ড এবং একটি ক্লিনার বাম্পার ডিজাইন।
ইন্টারনাল ডিজাইন: সেন্ট্রাল ড্যাশবোর্ড প্যানেলের ভেতরে দারুণ ফিনিস সহ সাফারির কেবিনটি মূলত হ্যারিয়ারের মতোই।
কী কী ট্রিমে আসছে গাড়িদুটি
হ্যারিয়ার এবং সাফারি দুটি গাড়িই স্মার্ট, পিওর, অ্যাডভেঞ্চার এবং ফিয়ারলেস ট্রিমে উপলব্ধ। নানান রঙের বিকল্প সহ ডার্ক এডিশনের সাথে আসে গাড়ি দুটি। লুক এবং ডিজাইন এবার আগের থেকে আরো নিখুঁত।
পাওয়ারট্রেন
Safari এবং Harrier এর ইঞ্জিনে সেরকম কোনো পার্থক্য নেই। দুটি SUV তেই 2.0-লিটার ডিজেল ইঞ্জিন রয়েছে যা 170 hp শক্তি এবং 350 Nm টর্ক উত্পাদন করে। 6-গতির ম্যানুয়াল অথবা 6-গতির অটোম্যাটিক ট্রান্সমিশন পাবেন আপনি। টেরেন রেসপন্স এবং একাধিক ড্রাইভ মোডও রয়েছে সেখানে। দুটি গাড়িই ভারতীয় রাস্তার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, Harrier Facelift এর প্রতিযোগিতা চলবে MG Hector, Mahindra XUV700, এবং Jeep Compass-এর সাথে। অন্যদিকে Safari Facelift লড়বে Scorpio-N, Hyundai Alcazar, and MG Hector Plus এর সাথে।